সমস্যা জর্জরিত সমাজের প্রতিটি সমস্যাই গুরুত্ব পূর্ণ। একক একটি সংগঠন বা ব্যক্তি সীমিত আয়ে সকল সমস্যার সমাধান করতে পারে না। তাই পিছু পড়া অবহেলিত মানুষগুলোকে আলো প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৪টি উম্মূক্ত বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে ৩০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা কাজ করে যাচ্ছেন। অক্ষর-জ্ঞানহীন মহিলাদের সাক্ষর করার জন্য তিনটি কেন্দ্রে ছয় জন শিক্ষিকা কর্মরত আছেন। এছাড়া প্রতিদিন সকাল বেলা দু’ঘন্টা নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের ফ্রি কোচিং দেয়া হয়। এখানে মোট আটজন শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মরত। বেকার যুবা-মহিলাদের পেশাগত শিক্ষার আওতায় সেলাই প্রশিক্ষণ শিক্ষা দেয়া হয়। এখান থেকে প্রতিবছর ৪০/৫০ জন বেকার-যুবা মহিলা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশের বিভিন্ন পোষাক শিল্প কারখানায় নিয়োগ পেয়ে ব্যক্তি ও পরিবারের ভরণ পোষণ করে আসছে। এ কার্যক্রমে দুজন দক্ষ প্রশিক্ষক নিয়োজিত আছেন।ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানের সময় মধ্যে মধ্যে সামাজিক অবক্ষয় এবং এর প্রতিরোধ ও প্রতিকার, প্রাকৃতিক বিপর্য্যয় এবং বির্প্যযয় থেকে নিরাপদ, রোগবালাই থেকে সুরক্ষা বিষয়ে সচেতনতা বিষয়ে জ্ঞান-দান করা হয়। স্বাস্থ্যসচেতনতার পাশাপাশি ব্যবস্থা প্রত্রের অনুকূলে দরিদ্র রোগীদের ঔষধ ক্রয় করে দেয়া হয়। সহায়-সম্বলহীন / তালিকাভূক্ত বিধবা মহিলাদের প্রতিমাসে সাত শত টাকা হিসেবে বিধবা-ভাতা দেয়া হয়। এ ছাড়া দরিদ্রদের খাদ্য-সামগ্রী, শীতবস্ত্র বিতরণ দরিদ্র মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের মাসিক বেতন, বইপত্র, স্কুল ড্রেস ইত্যাদি দেয়া হয়ে থাকে।